৮০০ টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতন
পাওনা মাত্র ৮০০ টাকার আদায়ের জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে এক রিকশাচালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় পুলিশ। পরে তালা খুলে মুক্ত করা হয় সেই রিকশাচালককে। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী মামুনের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত ভাঙারি ব্যবসায়ী মামুন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকেই ভুক্তভোগী রিকশাচালক রবিউলকে ওই দোকানের খুঁটিতে কুকুরের সঙ্গে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখে বিস্মিত হয় এলাকাবাসী।
অনেকে মুঠোফোনে সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়।
ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম (৪০) নীলফামারীর বাসিন্দা। এক সময় মামুনের সঙ্গে ভাঙারি ব্যবসা করলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালান।
রবিউল বলেন, আমি এক সময় ভাঙারি মালামাল বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে মামুনের কাছে বিক্রি করতাম। তখন থেকেই আমার সঙ্গে তার লেনদেন। এভাবে তিনি আমার কাছে ৮০০ টাকা পেতেন। অনিবার্য কারণে সময় মতো টাকা দিতে না পারায় আজ সকালে আমাকে হঠাৎ দোকানের সামনে পেয়ে মারধর করে মামুন। একপর্যায়ে কুকুরের পায়ে লাগানো শিকল পরিয়ে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে।
রবিউল আরও বলেন, ‘হঠাৎ দেখি পুলিশ আসল। পরে তারা আমাকে মুক্ত করে দেওয়ায় আমি বাড়িতে চলে যাই।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত মামুন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।