ভারতে আটক বনানী থানার পরিদর্শককে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। আজ রোববার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ তথ্য জানান।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু সোহেল রানার বিরুদ্ধে ভারতে মামলা হয়েছে, সেহেতু তাঁকে ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, ফিরিয়ে আনার রাস্তা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এটি অনেক সময় করা হয়।’
ডিএমপি’র কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। যদি এই মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাঁকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পরিদর্শক সোহেল রানার ব্যাপারে গুলশান বিভাগ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তাঁর সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন—ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ ও পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
তবে, শুরু থেকেই ই–অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন পরিদর্শক সোহেল রানা। যদিও অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।