ভারত থেকে বিনা পাসপোর্টে আসা তিনজনের করোনা শনাক্ত
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বিনা পাসপোর্টে দেশে আসা তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনজনকে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরের আজাদ রেস্টহাউজ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে তাদের বিশেষ নিরাপত্তায় আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার ফের তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো হবে। এ ছাড়া আইইডিসিআর ল্যাবেও তাদের নমুনা পাঠানো হবে। এ দুটি ল্যাবের ফলাফল পাওয়ার পরেই জানা যাবে আক্রান্ত ওই তিনজন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বহন করছে কিনা।
গত ১০ মে ভোরের দিকে মহেশপুর উপজেলার মাটিলা বিওপির বিজিবি সদস্যরা ১৭ জন এবং সামন্তা বিওপির বিজিবি সদস্যরা বাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে ১০ জন নারী-পুরুষকে অবৈধপথে ভারত থেকে দেশে প্রবেশের অভিযোগে আটক করে। তাদের সঙ্গে থাকা স্থানীয় পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকেও এ সময় আটক করা হয়। ওই দিনই প্রথমে মহেশপুর থানায়, এরপর ঝিনাইদহের আদালতে এবং সব শেষ জেলা শহরের আজাদ রেস্টহাউস নামের একটি আবাসিকে নেওয়া হয় তাদের।
আটককৃতরা বাংলাদেশের বাগেরহাট, নরসিংদী, খুলনা, নাটোর, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। জীবিকার সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছিলেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব থেকে ওইসব ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পাঠানো হয়। ২৮ জনের নমুনার মধ্যে তিনজনের নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নড়চড়ে বসে ঝিনাইদহের প্রশাসন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম আজ রাত ৮টার দিকে বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় শনাক্ত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কঠোর ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। ওইসব ব্যক্তির কাছাকাছি কাউকে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না। ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী আরও ১৬৭ জনকে জেলা শহরের দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তবে ওইসব ব্যক্তির কারো শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন আরও জানিয়েছেন, এরই মধ্যে অবৈধপথে ভারত থেকে দেশে আসা আটক ২৮ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী রোববার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা।