ভারি বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত বরিশাল নগরী
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নদ-নদী়র পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা ভারি বৃষ্টি হিসেবে ধরা হয়। ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত, যেটা বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিল।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল বাতাসের গতিবেগ ছিল, যা ৩০ থেকে ৪০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাড়তে পারে। নদীবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত ও সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত থাকবে। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ২ থেকে ৪ ফুটের অধিক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ স্থলভাগে উঠে গেছে। বায়ুচাপের তারতম্য ও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ এই পর্যবেক্ষক।
অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, অস্বাভাবিক জোয়ারে বরিশালের কীর্তণখোলা নদীসহ দক্ষিণাঞ্চলের সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। কীর্তণখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁটু সমান পানি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। খাল ও ড্রেন দিয়ে নদীর পানি উঠছে সড়কগুলোতে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
নগরীর ভাটিখানা, পলাশপুর, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, কবি জীবনানন্দ দাশ সড়ক, আমানতগঞ্জ, রসুলপুর, বেলতলা ও সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেক এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার চিত্রও দেখা গেছে।