ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, ২ পুলিশ কারাগারে

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁদের হাজির করা হলে বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
ওই পুলিশ সদস্যরা হলেন—সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মিনাজ হোসেন ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নাসির উদ্দিন। মিনাজ যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলী গ্রামের বাসিন্দা এবং নাসির বাঘারপাড়া উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তাঁরা দুজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় যশোর পুলিশে চাকরি পান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোকলেছুজ্জামান জানান, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যশোর পুলিশ লাইন্স মাঠে ওই দুজনকে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয়। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে কাগজপত্র দাখিল করেন। পরে পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে জানা যায়, তাঁদের দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরওআই) এম মশিউর রহমান কোতোয়ালি থানায় আলাদা তিনটি মামলা করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে ওই মামলার আসামিদের আটকের জন্য চিঠি পাঠান।
পরে গত বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মিনাজ হোসেন এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নাসিরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসআই মোকলেছুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র দিয়ে চাকরি নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’