ভোলায় স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, দুই আসামি কারাগারে
ভোলায় স্কুলছাত্রীকে (১৩) অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে সফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক ঢালী ও মো. নাগর মাল নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার সফিকুল ও নাগর মালকে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল আমিন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই আসামি স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর দেড়টায় বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি সফিকুল ইসলাম ও মো. নাগর মালকে আদালতে হাজির করে। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আলী হায়দার আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী, তার মা, চাচা, মামা, ভাইসহ আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে লালমোহন উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে অপহরণ করেন সফিকুল ইসলাম ও নাগর মাল। পরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের জামাল ও কামালের বাড়ির সামনে সবুজ হাজীর সুপারি বাগানের উত্তর পাশের পুকুরপাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তাঁরা। ধর্ষণ শেষে ওই স্কুলছাত্রীকে বোরহানউদ্দিন থানাধীন ভোলা-চরফ্যাশন সড়কসংলগ্ন সরকারি আবাসন প্রকল্পের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।