মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের কর্মীরা দেরিতে গেলেও চাকরি হারাবে না: প্রতিমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটময় পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করা বাংলাদেশিরা ছুটিতে বাড়িতে এসে আটকা পড়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেরি করে সেখানে ফিরলেও কেউ চাকরি হারাবে না বলে জানিয়েছে সরকার। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের ছুটির মেয়াদ অথবা তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেবে।’
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করা বাংলাদেশিদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, তাঁরা (বাংলাদেশিরা) চাকরি হারাবেন না (দেরিতে যোগদানের জন্য)।
শাহরিয়ার আলম আরো জানান, ঢাকাস্থ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাস সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চাকরি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করা গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করা অনেক বাংলাদেশি ছুটিতে দেশে ফেরার পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ছুটি শেষ হয়ে গেলেও তাঁরা আর মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কাজে যোগ দিতে পারছেন না।
এদিকে ডিপোর্টেশন সেন্টারে থাকা অথবা বিভিন্ন কারণে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের কুয়েত সরকার ফেরত পাঠাতে চায় বলে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার জানিয়েছেন।
তবে প্রথম ব্যাচ কবে দেশে আসছে জানতে চাওয়া হলে ওই কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে তাঁর জানা নেই।
গত বৃহস্পতিবারে কুয়েতের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) সেদেশে থাকা বাংলাদেশ ও ভারতের অবৈধ নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শনিবার থেকে শুরু হবে। তাঁদের ওপর জরিমানা না করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে ভবিষ্যতে কুয়েতে ফিরে আসতেও পারবেন বলে জানানো হয়েছে।