মহাসংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান ফখরুলের
বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের ছোবলে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অগণিত মানুষের মর্মান্তিক প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বিবৃতিতে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘প্রাণসংহারী এই ভাইরাসের আতঙ্কে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার দ্রুত অবসান না হলে মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। বর্তমান পরিস্থিতি সন্দেহাতীতভাবে একটি বৈশ্বিক সমস্যা ও সব রাষ্ট্রের জন্য সেটি জাতীয় সংকট। এই মহাসংকট ও দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দেশ এবং জনগণের স্বার্থে সবাইকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ রোববার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব এই বিবৃতি দেন। এ সময় তিনি দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে ‘লকডাউন’ ‘কোয়ারেন্টিন’ কিংবা ‘সেলফ আইসোলেশন’ প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় বিশ্ববাসী এখন সীমাহীন আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছে। করোনাভাইরাসের মহাআতঙ্কে সমগ্র বিশ্ব এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে নতুন আক্রান্ত আর লাশের সারি যেন লম্বা হয়েই যাচ্ছে।’
‘লকডাউন, আইসোলেশন, সেলফ কোয়ারেন্টিনে সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। চীন থেকে প্রথম ছড়িয়ে পড়া এই মহামারি ভাইরাস রোধে বাংলাদেশ সরকার উদাসীন না থাকলে এ দেশে এর তীব্রতা হয়তো এত প্রকট হতো না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই মহামারি আরো কঠিন আকার ধারণ করে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে গ্রাস করতে লাগামহীন হয়ে ধেয়ে আসছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘সরকারের সমন্বিত উদ্যোগে করোনাভাইরাসের আগ্রাসী ছোবল থেকে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া কিংবা বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর করুণা ভিক্ষা চাইছি। পাশাপাশি এই মরণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিশ্বের অগণিত মৃত্যুবরণকারীর আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’