মাজেদের দেওয়া তথ্য জাতির সামনে প্রকাশ করার দাবি নাসিমের
ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের দেওয়া তথ্য জাতির সামনে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, খুনির দেওয়া তথ্য প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার আড়াই মাসের মাথায় জেলখানায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে।
জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম সেই হত্যাকাণ্ডে ফাঁসি কার্যকর হওয়া মাজেদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য প্রকাশের এই দাবি তুললেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার খুনি মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় জাতি স্বস্তি পেয়েছে। ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম এই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকর হওয়াতে জাতি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরাও আনন্দিত।
এখন যেটা প্রয়োজন এই খুনির তথ্য অনুযায়ী কারা তাকে বিশেষ করে জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে সে কীভাবে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে গেল? এই তথ্যটি দেশবাসীর জানা দরকার।
কারণ সেনাশাসকদের বিশেষ করে জিয়া, খালেদা জিয়ার আমলে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্যান্টনমেন্টের মতো সুরক্ষিত জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকার সুযোগ পেয়েছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতে কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল? কোন কর্মকর্তারা দেশের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে আসীন করেছিল? জানা প্রয়োজন। খুনির তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রাকাশ করার জন্য সরকারে কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’
যে সেনা সদস্যরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, মাজেদ তাদের একজন। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে ২০০৯ সালের নভেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত থেকে ১২ জনের ফাঁসির রায় আসে। তাদের মধ্যে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর করা হলেও মাজেদসহ ছয়জন পলাতক থাকেন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ভারতের পালিয়ে থাকার পর গত সোমবার রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাজেদ। তাঁর দণ্ড কার্যকর করতে বুধবার ঢাকার জজ আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে।
মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করায় শনিবার মধ্যরাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।