মানসম্মত পিপিই নিশ্চিত করতে আইনি নোটিশ
সারা দেশের চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবার সঙ্গে যুক্ত সবার জন্য মানসম্মত পিপিই নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
ডাক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আজ সোমবার সকালে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ই-মেইলে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সরকারের করোনা প্রতিরোধ সেলকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশে আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি করোনাভাইরাস চিকিৎসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কেননা এটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস। এ রোগের চিকিৎসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকলে সংক্রামক ব্যক্তি থেকে চিকিৎসকরা এ রোগে সংক্রমিত হতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ থেকে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ ভাগই চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পিপিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নোটিশে আরো বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়; ব্যাপক চাহিদার কারণে আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পিপিই তৈরি করছে। যা অত্যন্ত আ্শাব্যঞ্জক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পিপিইতে সংক্রমণ প্রতিরোধের যেসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে কি না? কারণ আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছি; পিপিই ব্যবস্থা নেওয়ার পরও চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পিপিই ব্যবহারে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে; যার ব্যাপক প্রচার জরুরি। এখন আমাদের সব থেকে বেশি জরুরি; করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যারা নিয়োজিত তাদের যেসব পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে—সেগুলোর সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা। কারণ একজন চিকিৎসক যখন চিকিৎসা দেবেন তখন তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ভাববেন। কিন্তু সেই পিপিই যদি সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম না হয় তাহলে চিকিৎসাকর্মী সংক্রমিত হবেন। যা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পার এবং এ রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে।
এ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পিপিই সরবরাহের আগে সেটি সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করে তৈরি হচ্ছে কি না—বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।