মানিকগঞ্জে শ্বশুড়বাড়িতে নববধূর গলাকাটা লাশ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্বামীর বাড়ি থেকে সুমি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার হাত বাঁধা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামে শ্বশুড়বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নববধূ সুমি আক্তার একই ইউনিয়নের কাকজোর গ্রামের দিনমজুর রহম আলীর মেয়ে। মাত্র দুই মাস আগে শোলধারা গ্রামের মৃত রশিদ মোল্লার ছেলে মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবীর সহকারী রাসেল মোল্লা ওরফে রূপকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী জানান, আজ দুপুরে এক আইনজীবী থানায় ফোন করে জানান, তার এক আত্মীয়কে ছেলের বউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই হাসপাতালে ভর্তির জন্য থানায় জিডি করা লাগতে পারে।
ঘটনা জানার পর ছেলের বউকে ধরতে পুলিশ ওই বাড়িতে এলে ফাঁকা বাড়ি দেখতে পায়। এরপর ঘরের একটি রুমে সুমি আক্তারের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। কয়েকজন প্রতিবেশি জানায়, দুপুরে রূপককে তার মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছে। ওই বাড়িতে আশপাশের লোকজনের তেমন যাতায়াত করে না। এ কারণে কেউ ঘটনা টের পায়নি। তবে সকালে ঝগড়ার আওয়াজ পেয়েছে বলে জানায় তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। রূপক তার মাকে নিয়ে সাভারের একটি হাসপাতালে আছেন বলে জানতে পেরেছেন। মা-ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই নববধূ হত্যার রহস্য বের হয়ে আসবে বলে ধারণা তার।
নিহত সুমির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজুদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।