মানুষ এখন আর ভয় পায় না : নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ বাকশাল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশে বহু রাজনৈতিক দল থাকলেও কার্যক্রম করতে দেওয়া হয় না। এখন মানুষ বিশ্বাস করে—ভোট দেওয়া না-দেওয়া একই কথা। তবে, এ দেশের মানুষ আর এখন ভয় পায় না, তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবী পরিষদের আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালো কানুন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এদেশে ১৯৭৫ সালে যারা একদলীয় শাসন, একদলীয় স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল, সেই সরকারের একজন মন্ত্রী গলা উঁচু করে বলছেন—একদল না, আমরা সব দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করেছিলাম।’
‘সেই সময় বাংলাদেশের আর কি কোনো রাজনৈতিক দল ছিল’ প্রশ্ন তুলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আর কোনো দল ছিল না। হয় বাকশাল, না হয় নকশাল করেছিল। গেল ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সেটার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বহু রাজনৈতিক দল আছে কিন্তু তাদের কার্যক্রম করতে দেওয়া হয় না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গেল কয়েকটি উপনির্বাচনে সরকার থেকে বলা হয়েছে, ভোট পড়েছে ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ, কিন্তু বাস্তবচিত্র হচ্ছে ১০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যায়নি। নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী ভোট দিতে যায়নি। কারণ সারা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে—ভোট দেওয়া না-দেওয়া একই কথা।’
বিএনপির নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বইয়ে লেখেন সমাজতন্ত্র কায়েমের কথা ও চর্চা করেন স্বৈরতন্ত্রের। বইতে লিখে রাখবেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, চর্চা করবেন ধর্ম নিরপেক্ষতা। এগুলো আপনাদের তামাশা।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ আর এখন ভয় পায় না। তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যে সংবিধান নিয়ে তামাশা করেন, সে সংবিধানের দোহাই দিয়ে কি আপনারা জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করতে চান? অসম্ভব, কেউ পারেনি, আপনারাও পারবেন না। আগামী দিনে আমরা বিজয়ী হব। যেসব পত্রপত্রিকা আপনারা অন্যায়ভাবে বন্ধ করেছেন। সব পত্রিকা খুলে দেওয়া হবে। যেসব টিভি চ্যানেল বন্ধ করেছেন, সেগুলো খুলে যাবে।’
পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক ডাক্তার জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাংবাদিক নেতা এম এ আজিজ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, বাছির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ।