মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় কামরান
মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরের মানিকপীর টিলা কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর কামরানের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী সেখানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে কামরানের মরদেহ ছড়ারপারের বাসভবনে এসে পৌঁছায়। ভোর থেকেই সেখানে নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহের অপেক্ষায় ছিলেন। কামরানকে বহনকারী লাশবাহী গাড়িটি তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করলে তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এ সময় করোনার ভয় উপেক্ষা করেও তাঁর বাসার সামনে জড়ো হন অসংখ্য নেতাকর্মী।
বাদ জোহর ছড়ারপার জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ভাইয়ের ছেলে ইমতিয়াজ আহমদ আবদাল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যক লোক জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এই মসজিদের মোতাওয়াল্লি ছিলেন। প্রথম জানাজার পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য কামরানের মরদেহ মানিকপীর কবরস্থানে নেওয়া হয়।
গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের ফলাফল পজিটিভ আসে। ওই দিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরের দিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ৭ জুন সন্ধ্যায় বিমানবাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল।