মিজান-এনামুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৬ মার্চ
ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন। আজ এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১৬ মার্চ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যলয় ১-এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে এ বছরের ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঢাকার সিনিয়র মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
এর আগে গত বছরের ১ জুলাই ডিআইজি মিজানুর রহমান হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে তাঁর আবেদন নাকচ করে সঙ্গে সঙ্গে কাস্টডিতে (হেফাজতে) নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। পরে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া তাঁর ভাগ্নে উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে তাঁর ভাগ্নে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত বছরের ১৯ জুন মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মিজানুর রহমান।
গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরই এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন, রেকর্ড করা বক্তব্যে তাঁর কণ্ঠ নকল করা হয়েছে। পরে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। এরপর গত বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছির বর্তমানে কারাগারে আছেন।