মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলা: তিন আসামি দুই দিনের রিমান্ডে
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় গ্রেপ্তার তিনজনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে গতকাল সোমবার উখিয়া থানা পুলিশ আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার ভোরে এপিবিএন মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। কিলিং স্কোয়াডের টপ পাঁচজনের একজন আজিজুল হক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। অপর তিনজন কুতুপালং ক্যাম্প-১-এর ‘ডি’-৮ ব্লকের মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের ‘বি’-ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর মোহাম্মদ। উখিয়া থানা পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (‘ডি’- ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, মুহিবুল্লাহর মূল উত্থান হয় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা আগমনের বর্ষপূর্তিতে। ওই দিন তিনি লাখো রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটিয়ে আলোচনার তুঙ্গে এনেছিলেন নিজেকে। সেদিন তার নেতৃত্বে ছিল তিন থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার মহাসমাবেশ।
এরপর তিনি উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে দক্ষ নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে সোচ্চার মুহিবুল্লাহ ধীরে ধীরে প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন।