মেঘনা বিল্ডার্সের মালিকের ‘প্রতারণা’ তদন্তের নির্দেশ
সাবেক বন সংরক্ষক এবং মেঘনা বিল্ডার্সের স্বত্তাধিকারী মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ভয়ভীতি প্রর্দশনের অভিযোগে করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাসিক পত্রিকা ‘মানবাধিকার খবর’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আগামী ৫ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, আসামি মোশাররফ হোসেন বন সংরক্ষক পদে দায়িত্ব পালনের সময় বাদীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি অবসরে যাওয়ার পর মেঘনা বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং একসঙ্গে ব্যবসা করার জন্য বাদীকে প্রস্তাব দেন।
বাদী ২০০৫ সালের ১৯ নভেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে যোগদান করেন। বাদী ও আসামির সঙ্গে চুক্তিনামায় বাদীকে ৫০ হাজার টাকা প্রতি মাসে সম্মানী ও দুটি বোনাস প্রদান করবেন এবং প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক হিসাব সম্পন্ন করে লাভ-লোকসান কষে বাদীকে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ও আসামি ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রাপ্ত হবেন।
কিন্তু ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসামি বাদীকে নিয়মিত সম্মানী ও বোনাস প্রদান করলেও এরপর থেকে তা সঠিকভাবে প্রদান করেননি। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক হিসাব সম্পন্ন করে লাভ-লোকসান কষে বাদীকে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের কথা থাকলেও তা প্রদান করেনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই অঙ্গীকারপত্র অনুযায়ী বাদীকে প্রতি বছর দুই ঈদে বোনাস ও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে সম্মানী বৃদ্ধি, ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট ও একটি প্রাইভেটকার প্রদান, বাদীর পত্রিকা অফিসের উপদেষ্টা হিসেবে ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে ভাড়া প্রদান করার কথা থাকলেও আসামি তা পরিশোধ করেননি। সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে তিনি বাদীকে কোনো সম্মানী এবং লাভ-লোকসানের হিসাব প্রদান করেননি। সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদী মাসিক সম্মানী ও হিসাব-নিকাশ চাইতে আসামির অফিসে গেলে আসামি তাঁকে বকাঝকা, গালাগালি করেন এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদান করে বের করে দেন।
মোশাররফ হোসেন এর আগে বন সংরক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৮ জুন সরকার তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।