মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

ছবি: স্টার মেইল
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আবহাওয়া অফিসে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আওবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আয়েশা খাতুন।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতও মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আয়েশা খাতুন বলেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর- উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এটি আগামীকাল সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
এদিকে শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৩টি জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাঁদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৩টি জেলার প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সওজ, এলজিইডিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগ, এনজিও ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার সময় করণীয় বিষয়গুলো জানিয়ে মাইকিং করে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আগামীকাল শনিবার বিকেলের পর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।