মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দপ্তরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সভাকক্ষে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শ্রিংলা।

এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা বলেন, ‘মোদির আগমনে বাংলাদেশ-ভারতের সোনালি অধ্যায় সূচিত হবে। দ্বিপক্ষীয় অনেক সমস্যা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন। আরো যে সমস্যাগুলো রয়েছে, তা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে আলোচনা হবে এবং সমাধান হবে।’

শ্রিংলা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন হলে সেটা আমরা আমাদের উন্নয়ন বলেই মনে করি। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্ববোধ করি।’

দিল্লির সহিংসতার ঘটনার পর বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদিকে বিরোধীপক্ষের প্রতিরোধের ঘোষণার বিষয়টি ভারত কীভাবে দেখছে—এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। এটা বাংলাদেশের মানুষ উদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন বলে মনে করি। দিল্লির ঘটনা কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সংঘর্ষ নয়। এর তদন্ত করা হচ্ছে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রসঙ্গে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘এনআরসি কোনো বিশেষ ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে নয়, এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বিচার করলে চলবে না। সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। সরকার শক্ত হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করছে। আশা করি, এই পরিস্থিতি দুই দেশের সস্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলী দাশ ছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।