মৎস্য কর্মকর্তাকে 'প্রাণনাশের হুমকি', উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্যানেল চেয়ারম্যান ১-কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ৪ ফেব্রয়ারি ওই মৎস্য কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ওই দিন বেলা দুপুর ১টার দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এ সময় ওই উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর ক্যাডার বাহিনীর সদস্য পিন্টু, আমির হামজা, মো. আজম ও মো. শুভসহ অজ্ঞাত সাত থেকে আটজন তাঁর কার্যালয়ে ঢোকেন। তাঁরা উপজেলা চেয়ারম্যান যেতে বলেছেন বলে জানান। কাজ শেষ করে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানানোর পর পরই তাঁরা মৎস্য কর্মকর্তাকে টেনে-হেঁচড়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চেয়ারম্যান তাঁর কাছে উপজেলার পরিসংখ্যান বিভাগে গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চান। তিনি এই কমিটির সদস্য নন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই বলার পর ওই চেয়ারম্যান তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর তাঁকে বদলিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা ছাড়াও জেলা প্রশাসকসহ মৎস্য বিভাগের ডিজির কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমি আইনি লড়াই করব।’
আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁকে সংশোধন হতে বলেছি মাত্র।’