সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলী আকবরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি।

জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অমর কৃঞ্চদাসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘নিহত আলী আকবর সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে আমরা মনে করি। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় যারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছিল, তাদের এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তাই, আমরা মনে করি, পুলিশ ইচ্ছে করলে যুবদলনেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে।’

এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আবদুল জব্বার বাবু, দপ্তর সম্পাদক পলাশসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনী বাড়ি বাজারে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলী আকবরকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত আকবর সদর উপজেলার বড় সারোটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আলী আকবরের পরিবার জানায়, গতকাল রাতে বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনী বাড়ি বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন আলী আকবর। এ সময় কয়েকজন যুবক তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তবে কী কারনে আলী আকবরকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।