রহস্য উদঘাটন, ইয়াবার টাকা যোগাতে চালককে খুন
গাজীপুরে ইয়াবা সেবনের টাকা যোগাতে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল মাদকসেবী কয়েক যুবক। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রায় আড়াই বছর পর ক্লুলেস এ খুনের রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই।
আজ শুক্রবার গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম সাগর হোসেন (১৯)। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানাধীন কালিপুর (পূর্ব নোয়াবাদ) এলাকার বাসিন্দা।
নিহত অটোরিকশার চালক আছমত আলী (২৭) শেরপুরের নালিতাবাড়ির আন্দারপাড়া এলাকার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে।
পিবিআইয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুরের বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকায় বসবাস করে সাগর ও তার সহযোগীরা। তারা একত্রে চলাফেরা ও ইয়াবা সেবন করত। ২০১৯ সালের ১৪ জুন ইয়াবা সেবনের টাকা যোগাতে তারা ঘটনার রাতে স্থানীয় বাদুরবন এলাকায় একত্রিত হয়। এরপর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরে তারা যাত্রীবেশে আছমত আলীর অটোরিকশা ভাড়া করে গাছা থানাধীন পলাশোনা নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ছুরি দিয়ে আছমত আলীর ঘাড়ে, বুকে ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে। পরে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন ঘটনা আঁচ করতে পেরে ধাওয়া করে। এরপর তারা অটো ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকার এমদাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন আছমত আলী। তিনি গত ২০১৯ সালের ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। গভীর রাতে তার রক্তাক্ত লাশ পলাশোনা নদীর তীরে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ক্লুলেস এ খুনের এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জবেদা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রায় দুই মাস মামলাটি তদন্ত করে। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে গাজীপুর জেলা পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তারা কার্যক্রম শুরু করে। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত সাগরকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সাগর নিজেকে জড়িয়ে এবং মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যারহস্য প্রায় আড়াই বছর পর উদঘাটন হলো।