রাজধানীতে তিন টুকরো লাশের ঘটনার মূল হোতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের তিন খণ্ড লাশ তিন স্থান থেকে উদ্ধারের ঘটনার মামলার মূল আসামী রুপম সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিএমপি। আজ সোমবার সকালে ডিএমপি থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় তিন টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনার মূল আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ডিবির একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মূল আসামির নাম রুপম সরকার। তবে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রেমবাগান ও উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহিনা আক্তার ও তার মেয়ে মনি সরকার নামের এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি উত্তরের বিমাবন্দরের জোনাল টিম। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ঢাকার দক্ষিণখান হতে নিখোঁজের পর হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের তিন খণ্ড তিন জায়গা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বড় ভাই হুজায়ফা হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ১২। কোরানে হাফেজ হেলালের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার দইহাড়ি গ্রামে। মাদ্রাসায় পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি দক্ষিণখানের আজমপুরে মোবাইল ফোন রিচার্জের ব্যবসা করতেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘গত ১৫ জুন সোমবার দক্ষিণখান থানার মুক্তিযোদ্ধা সড়কের বটতলা এলাকা থেকে একটি অজ্ঞাত লাশের নাভি থেকে নিচের অংশ এবং একই দিন নাভি থেকে গলা পর্যন্ত অংশ বিমানবন্দর থানা এলাকার হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন ঝোপের মধ্যে থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে তার পরিচয় হেলাল উদ্দিন বলে সনাক্ত করা হয়। পরদিন ১৬ জুন মধ্যরাতে দক্ষিণ খান থানার গাওয়াইর ভূঁইয়া বাড়ি এলাকার কবরস্থান সংলগ্ন ডোবা থেকে হেলালের খন্ডিত মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
মশিউর রহমান বলেন, ‘লাশের টুকরো পাওয়া স্থানের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজে থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহ চার্লস রূপম সরকার নামে এক খ্রিস্টান যুবককে সনাক্ত করে। তাকে লাশের খন্ডিত অংশের বস্তাটি রিকশায় করে নিয়ে ঝোঁপে ফেলে দিতে দেখা যায়। উত্তরার প্রেম বাগান ও আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে প্রথমে মনি সরকার ও পরে তার মা রাশিদাকে গ্রেপ্তার করে। তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবসার টাকা লুটের জন্য হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।’