রাজধানীর বসিলায় একটি বাসা থেকে ‘জেএমবির শীর্ষ নেতা’ আটক
রাজধানীর বসিলায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরই মধ্যে সেখান থেকে ইমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টার নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। র্যাবের দাবি, আটক ওই ব্যক্তি জেএমবির এক শীর্ষ নেতা। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বসিলা ব্রিজের কাছে একটি বাসা জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘র্যাব জেএমবির একজন শীর্ষ নেতাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও রাসায়নিক দ্রব্য পেয়েছি। আনুমানিক তিন লাখ টাকাও পেয়েছি। বেশ কিছু জিহাদি বই ছিল সেখানে। আটক ব্যক্তির নাম ইমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টার।’
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ভবনটির দারোয়ান ও আটক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জেনেছি, গত ২ তারিখ দুজন ব্যক্তি ওই বাড়ি ভাড়া নেন। তাঁরা প্রিন্টিং প্রেসে কর্মরত বলে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। ওই দুজন পাঁচ হাজার টাকা অ্যাডভান্স করেন এবং কিছুদিন পর তাঁরা পরিবারসহ উঠবেন বলেও জানিয়েছিলেন। পরিবার নিয়ে ওঠার সময় তাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্র দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা ইমদাদুল হককে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়েছি। এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে। সংগঠনে তাঁর কী ভূমিকা, কোন পদে আছেন—এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বিকেলে। তবে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে জেনেছি, জেএমবির একজন উচ্চপদস্থ নেতা হিসেবে উজ্জ্বল মাস্টারের অবস্থান রয়েছে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ‘এমদাদুল হক আমাদের জানিয়েছেন, তিনি ২০০৪ সালে জেএমবির ময়মনসিংহের স্থানীয় নেতা ছিলেন। তবে এখন তিনি পুরো জেএমবির শীর্ষ নেতা বলে জানিয়েছেন। গত কয়েক দিন আগে ময়মনসিংহ থেকে চার জন জেএমবির সদস্যকে আটক করা হয়। অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে তাদের কিছু পরিকল্পনা ছিল। ওই পরিকল্পনার নির্দেশদাতা ছিলেন এমদাদুল হক। তবে তিনি ময়মনসিংহের স্থানীয় জেএমবির নেতা নন। তাঁর দাবি, তিনি জেএমবির শীর্ষ নেতা। ময়মনসিংহে গেপ্তার হওয়া চার জঙ্গি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানার তথ্য দেন। তাদের কথা অনুযায়ী, বাসাটিতে জেএমবির শীর্ষস্থানীয় এক জন নেতা থাকতেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বসিলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই বাসায় আরও দুজন থাকতেন। তাঁরা গতকাল এবং আগে দুজন চলে গেছেন। তাঁদের ধরতেও অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত তথ্য বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জানাব।’