রাজশাহীতে সড়কে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ নিহত ৪
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায় একই পরিবারের তিন সদস্যসহ নিহত বেড়ে চার জনে দাঁড়িয়েছে। মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তার হোসেন মারা যান। এর আগে তাঁর স্ত্রী ও চার বছরের শিশু কন্যা মারা যায়।
এ ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামে আরেকজন মারা গেছেন।
জানা যায়, নিহত আক্তার হোসেন তাঁর স্ত্রী বীথি খাতুন ও চার বছর বয়সী কন্যা মরিয়ম জান্নাতকে নিয়ে নিয়ামতপুর থেকে মোটরসাইকেলে করে রাজশাহীতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আমান কোল্ড স্টোরের সামনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের চার যাত্রী সড়কে পড়ে যান। এ সময় মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দিলে মা-মেয়েসহ তিন জন নিহত হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আক্তার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে তিনিও মারা যান।
নিহতরা হলেন—নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের আক্তার হোসেন (৩৫), তাঁর স্ত্রী বীথি খাতুন (৩৩), তার মেয়ে মরিয়ম জান্নাত (৪) ও একই জেলার মান্দা উপজেলার ছোট বেলালদহ গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৮)।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমান কোল্ড স্টোরের সামনে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের চার যাত্রী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাঁদের চাপা দেয়।
এতে একটি মোটরসাইকেলের আরোহী আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তিনি রাজশাহী থেকে মান্দার দিকে যাচ্ছিলেন। আরেকটি মোটরসাইকেলে আক্তার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী বীথি খাতুন ও তাঁদের মেয়ে মরিয়ম ছিলেন।
এদের মধ্যে শিশু মরিয়ম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বীথিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর আক্তার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান।
ওসি আরও বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’