রাজশাহীর বিএনপি নেতার বক্তব্যে দেশবাসী ক্ষুব্ধ : ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তাতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এই বক্তব্যে বিএনপির ফ্যাসিবাদি মানসিকতা, ষড়যন্ত্র এবং খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি, তাহলে কি ধরে নেব এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য?’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জনগণ আশা করে বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত। তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি জানান, এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ এ বক্তব্য প্রত্যাহারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে।
‘সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি। তাদের আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার এরই মধ্যে একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে। জনগণ এখনও রাজপথে কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনও তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধ বিরোধিতা করছেন, আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কি না, সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে। আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে অথচ ৭৫ এর হত্যাকান্ডর পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।’