রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর রেকর্ড
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় এখানে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর এই হাসপাতালে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। এর আগে এখানে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে নয়জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ১৬ জন মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীরই ১২ জন। এ ছাড়া পাঁচজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, পাঁচজন নাটোরের, দুজন নওগাঁর ও একজন চুয়াডাঙ্গার। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৯ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৪৩ জন।
পরিচালক জানান, একই সময়ে করোনা ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৭০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০ জন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪০৫টি বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ৪৫৯ জন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি আছেন ১৮২ জন, সন্দেহভাজন ২৩৪ জন ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে করোনা নেগেটিভ রোগী আছেন ৪৩ জন। মোট রোগীর মধ্যে ৩০৭ জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫১ জন, নাটোরের ৩১ জন, নওগাঁর ৩৭ জন, পাবনার ২৪ জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দুজন, দিনাজপুরের দুজন, মেহেরপুরের একজন ও ঢাকার একজন। সর্বশেষ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে মারা গেছেন ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন ও নারী ১০ জন।
এদিকে রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, আগের দিন যা ছিলো ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন এই হার ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ থাকলেও সর্বশেষ শনাক্ত হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর নওগাঁয় শনাক্ত হয়েছে ৩৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।