রিফাত হত্যা : আদালতে হাজির ১৪ কিশোর আসামি
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া পাহারার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যান থেকে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে বিভিন্ন সময় স্বজনদের সঙ্গে আদালতে হাজির হয় এ মামলায় জামিনে থাকা আট অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি।
আদালতের অনুমতি নিয়ে আর কিছুক্ষণ পরই আসামিদের জেলা শিশু আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে। এরপরই মামলার রায় পড়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
মামলার রায় শুনতে আদালতে রিফাতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও মামলার আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও আসামিদের স্বজনরা হাজির হয়েছেন। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
কারাগার থেকে আদালতে আসামিদের আনার সময় প্রিজনভ্যানটি মাঝে রেখে দুপাশে ছিল র্যাব ও পুলিশের গাড়ি। এরপর সারিবদ্ধভাবে ছয় আসামিকে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাদের উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। এ ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে ছিল।
গত ১৪ অক্টোবর এ মামলায় দুপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।