রূপগঞ্জে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে আ.লীগের ১৪ নেতা বহিষ্কার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪ জনকে বহিষ্কার ও একজনকে সর্তকবার্তা দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) ও ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সামছুল আলম, করিম পাঠান, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য মমিনুল হক, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য আনার উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সামছুল হক, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জলিল মিয়া, সভাপতি আমিন বেপারী।
এছাড়া সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খন্দকার আবুল বাশার টুকুকে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য মনে করে গত কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় রফিকুল ইসলাম রফিককে। কিন্তু রফিক এবার দলীয় প্রার্থী জাহেদ আলীর (নৌকা) বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তার ভাই মিজানুর রহমান মিজানকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি অপরাধ করেছেন। এছাড়া বহিষ্কৃত অন্যরা একই অপরাধ করেছেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খন্দকার আবুল বাশার টুকুর বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। সেই অভিযোগের আলোকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে এবং দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’