লকডাউনে আবারও মানুষের পাশে জাতিসংঘের ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ সৈকত
করোনার মহামারিতে আবারও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। এ সময়ে রোগী পরিবহণে অ্যাম্বুলেন্স, বিনামূল্যে শিশুখাদ্য (গুড়া দুধ) পৌঁছে দেওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করবেন সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। এসব সেবা পেতে ০১৬৮৪০২৩৪১১ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারির কারণে জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর হাহাকার, অনুভব করছি প্রিয়জন হারানোর তীব্র ব্যথা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার লকডাউন ঘোষণার পর জনদুর্ভোগ দূর করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে আমরা মনে করি, সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবিলা অসম্ভব। সংকটের এই সময়ে এসে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনাদের সম্মিলিত সহযোগিতা নিয়ে আগের মতো এ শহরের কিছু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করব।’
এ বিষয়ে সৈকত আজ দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, করোনার প্রভাবে অতিরিক্ত রোগীর চাপে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের রোগী পরিবহণের জন্য আমরা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করব। আমাদের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করলে ঢাকার আশপাশ এলাকায় রোগীর চাহিদামতো হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হবে। লকডাউনের কারণে কর্মহীন সাধারণ পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যে শিশুর গুড়া দুধসহ শিশুখাদ্য পৌঁছানো হবে। এ ছাড়া গত বছরের লকডাউনের মতোই টিএসসিতে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের জন্য থাকবে খাদ্য সহায়তা।
গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে টানা ১২১ দিন দুই বেলা খাবার তুলে দেন তানভীর হাসান সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। শুধু তাই নয়, ওই সময়ে বন্যা পরিস্থিতিতেও তিনি উত্তরাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, দিয়েছিলেন খাদ্য সহায়তা। এসববের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতিসংঘ থেকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো’।