লকডাউন কাজ করছে না, আমরা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া দুটি কারণে বন্ধ হচ্ছে না। প্রথমত, লকডাউন কাজ করছে না সেভাবে, যেভাবে আমরা আশা করছি। দ্বিতীয়ত, লোকজন আক্রান্ত এলাকা থেকে ভালো এলাকায় যাচ্ছে। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে। এতে দিন দিন আমরা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি।
আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের (এমআইএস) পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান ‘করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত’ অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, লকডাউন কাজ করছে না সেভাবে, যেভাবে আমরা আশা করছি। দ্বিতীয়ত, লোকজন আক্রান্ত এলাকা হতে ভালো এলাকায় যাচ্ছে। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।’
জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ধর্মীয় ইমামদের আরো সচেতন হতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউনের মধ্যে একটি জানাজায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ সমাগম থেকে করোনাভাইরাস আরো বেশি ছড়িয়ে পড়বে। এটা কোনোভাবে ঠিক হয়নি। এ ধরনের সমাগম বন্ধে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।’
বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান করোনাভাইরাসের সপ্তম সপ্তাহের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সপ্তাহে ইউরোপ-আমেরিকায় বিপর্যয় শুরু হয়েছিল। এ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রকম সময়েই ইউরোপ-আমেরিকায় হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। প্রাণ হারিয়ে ছিল। যার রেশ এখনো টানছে দেশগুলো।
মন্ত্রী বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন সেভাবে কার্যকর হয়নি। আমরা এখনো দেখছি মানুষ বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা করছে। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে গেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯১ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৩১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট দুই হাজার ৪৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬৩৪ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে ৩১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই পর্যন্ত মোট ২৩ হাজার ৮২৫ জনের করোনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।