লাশ হয়ে নানাবাড়ি রাবি’র হিমেল, স্বজন-সহপাঠীদের বুকফাটা কান্না
নিজ ক্যাম্পাসে ট্রাকচাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা বিভাগের ছাত্র মাহমুদ হাবিব হিমেলের মরদেহ আজ বুধবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টির নানাবাড়ি পৌঁছায়। মরদেহের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
হিমেলের মরদেহ নেওয়া হয় স্থানীয় একটি স্কুল প্রাঙ্গণে। এ সময় নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী
এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হিমেলের মরদেহ কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায়। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী নিহত হিমেলের মা ও নানার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের স্বান্ত্বনা দেন। এ সময় হিমেলের মা মনিরা আক্তারের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপাচার্য। একই সঙ্গে তিনি সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণসহ নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন (হিমেলের) পরিবারের পাশে আছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ছেলের মামা রাতে ক্যাম্পাসে যান, পরে সকালে তার মা যান। তাঁর আর্থিক ও সার্বিক দায়দায়িত্ব আমরা নেব। আশা করছি, তাঁর মা যতদিন বেঁচে থাকবেন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়। পাঁচ লাখ টাকার টোকেন অর্থ আজ দিলাম। আজই মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এরপর আমরা বড় একটা ফান্ড করে দেব, ফিক্সড ডিপোজিটে থাকবে। প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ অর্থ আসবে সেখান থেকে।’
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি পূরণ না করলে আবারও আন্দোলনে নামার হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, হিমেলের জানাজার সময় পরিবর্তন করে বাদ জোহর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্যেরা।