লুডু খেলায় বাধা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় লুডু খেলায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার বড়তল্লা গ্রামে আজ বুধবার সকাল ৮টা ও বেলা ১১টার দিকে দুই দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বড়তল্লা গ্রামের রেললাইনে বসে টাকা দিয়ে মোবাইলে লুডু খেলছিলেন কাউসার ও সিরাত নামের দুজন। এ সময় লুডু খেলায় বাধা দেন একই গ্রামের রাশেদ ও রমজান। এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে রেললাইন এলাকায় কাউসার-সিরাত পক্ষের লোকজন ও রাশেদ-রমজান পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরপর আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন এবং আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদের মাধ্যমে রেললাইন এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের সামনে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সির নেতৃত্বে আধা ঘণ্টা পর সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি যেন পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’