শওকত ওসমানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৮ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন এই গুনী কথা সাহিত্যিক।
১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সাবলসিংহপুর নামক গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শওকত ওসমান। তার পিতার নাম শেখ মোহাম্মদ এহিয়া ও মাতার নাম গুলজান বেগম। পারিবারিকভাবে দেওয়া তার প্রকৃত নাম হচ্ছে শেখ আজিজুর রহমান। তিনি প্রথম দিকে এই নামেই লেখালেখি শুরু করেছিলেন।
শওকত ওসমান কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রবেশিকা (১৯৩৩), সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে আইএ (১৯৩৬) ও বিএ (১৯৩৯) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ (১৯৪১) পাস করেন। আইএ পাস করার পর তিনি কিছুদিন কলকাতা করপোরেশন এবং বাংলা সরকারের তথ্য বিভাগে চাকরি করেন। এমএ পাস করার পর তিনি গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে (১৯৪১) লেকচারার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৪৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ অব কমার্সে যোগ দেন এবং ১৯৫৯ সাল থেকে ঢাকা কলেজে অধ্যাপনা করে ১৯৭২ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। চাকরিজীবনের প্রথমদিকে স্বল্পসময় তিনি কৃষক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
শওকত ওসমান বিংশ শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত লেখক ও কথাসাহিত্যিক। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শেখ আজিজুর রহমান। শওকত ওসমান একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন।
তিনি মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসাবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ''ক্রীতদাসের হাসি'' তাঁর প্রসিদ্ধ উপন্যাস।
অনুবাদেও শওকত ওসমান সিদ্ধহস্ত। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো- জননী, ক্রীতদাসের হাসি, সমাগম, চৌরসন্ধি, রাজা উপাখ্যান, জাহান্নাম হইতে বিদায়, রাজপুরুষ, নেকড়ে অরণ্য, আর্তনাদ ইত্যাদি।
গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প, মনিব ও তাহার কুকুর, ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভৃতি। লিখেছেন স্মৃতিকথা। এগুলো হলো- স্বজন সংগ্রাম, কালরাত্রির খ-চিত্র, অনেক কথন, গুডবাই জাস্টিস-মাসুদ, উত্তর পূর্ব ও মুজিব নগর। নাটকের মধ্যে রয়েছে- আমলার মামলা ও পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা।