করোনাভাইরাস যেন না ছড়ায় সেজন্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তারপরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করেছে শিক্ষার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমনকি অভিভাবকসহ কক্সবাজারও যাচ্ছে! এ নিয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছে ওই মন্ত্রণালয়।

শিক্ষার্থীদের এভাবে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। পাশাপাশি সন্তানদের বাসায় অবস্থান নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ছুটিতে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাচ্ছে ঘুরতে। অনেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণেও গেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে গত ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ ছুটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি অনেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনেও যাচ্ছেন স্বপরিবারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, একই আদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলেও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কিছু কোচিং সেন্টার তাদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের শিক্ষার্থী ও সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুনরায় চিঠি দেয়া হয়েছে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথমবারের মত মারা গেলেন একজন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, দেশে নতুন করে আরো চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।