শেরপুরে আত্মহননকারী কৃষকের পরিবারের পাশে কৃষকদলের নেতারা
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নে ঋণ নিয়ে সেচ প্রকল্প খুলতে ব্যর্থ হওয়ায় আত্মহত্যা করেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ কৃষক শফিউদ্দিন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁরই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেলে নালিতাবাড়ীতে গিয়ে তাঁরা মৃত কৃষকের পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেন।
কৃষকদলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও কৃষকদল নেতা ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছিলেন শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন, সদস্য সচিব ইউনুস দেওয়ান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এ সময় তাঁরা কৃষক শফিউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। সেখানে বিপুল মানুষ জড়ো হন। এ সময় কৃষকদলের সভাপতি ও সম্পাদকসহ অন্যরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেন, ‘কৃষক শফিউদ্দিনকে তাঁর সেচ পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ নিতে বাধা দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা শফিউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও করে। একদিকে জমি চাষ করতে না পারা, অন্যদিকে ঋণের চাপ এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের অব্যাহত হুমকি, হামলা ও মামলার কারণে শফিউদ্দিন গ্রামবাসীকে সব জানিয়ে প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করেন। আমরা এমন মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখি। আমরা এর বিচার চাই।’
কৃষকদলের সম্পাদক আরও জানান, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে শফিউদ্দিনের পরিবারের পাশে আমাদের দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী এবং তারেক রহমানের দেওয়া সহায়তা প্রদানের জন্য আজ আমরা এসেছি।’
গত ২ ফেব্রুয়ারি কৃষক শফিউদ্দিন তাঁর সেচ পাম্প চালু করতে না পেরে এবং নিগৃহীত ও মামলার শিকার হয়ে সেচ পাম্পের ঘরের কাছে সবাইকে জানিয়েই আত্মহত্যা করেন।
এদিকে, নালিতাবাড়ী থেকে শেরপুর জেলা সদরে ফিরে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী’র বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে লিখিত বক্তব্যে কৃষকদলের পক্ষ থেকে কৃষক শফিউল্লাহর আত্মহত্যার কারণ এবং তাঁর আত্মহত্যার পেছনে দায়ী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচার দাবি করা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, তাঁরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সেই আত্মহননকারী কৃষকের পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।