সম্পত্তির লোভ : ভাতিজাদের ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ভাতিজাকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন সোলেমান মিয়া নামের এক ব্যক্তি। ভাতিজাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও করেন তিনি। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, নিহত সালমাকে (১৪) হত্যা করেছেন তারই বাবা সোলেমান ও তার সহযোগীরা। গলায় আঘাত নিয়ে সোলেমান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোলেমানের দুই সহযোগীকে।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তানভীর আহমেদ।
তানভীর আহমেদ জানান, উপজেলার বসন্তপুর এলাকার সোলেমান মিয়ার সঙ্গে তার ভাতিজা শাহজালাল ও শাহ কামালের দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলছিল। গত ১ অক্টোবর ভাতিজাদের ফাঁসাতে আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ ও হাত-পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। পরে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। পরে ২ অক্টোবর সকালে স্থানীয়দের পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। পরদিনই সোলেমান গলায় আঘাত দেখিয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে নাটক সাজায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সালমা হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালায় পুলিশ। তদন্তকালে ঘটনার দিন বাদী, সাক্ষী ও আসামিদের অবস্থান এবং এজাহারের বক্তব্যের সঙ্গে গরমিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাদীর মানিত সাক্ষীদের কথাবার্তা ও ঘটনার রাতে তাদের অবস্থান সম্পর্কে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। তথ্যের গড়মিল পাওয়ায় সোলেমানের উকিল শ্বশুর প্রতিবেশী আবদুর রহমান ও বন্ধু খলিলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।