‘সহানুভূতিশীল হোন, সংবেদনশীল আচরণ করুন’
অন্য রোগীদের পাশাপাশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করার অনুরোধ করেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘আপনারা সহানুভূতিশীল হোন। সংবেদনশীল আচরণ করুন। বিদেশ থেকেই আসলেই কিন্তু তারা করোনা আক্রান্ত নন।’
আজ বুধবার নিয়মিত প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন অধ্যাপক সেব্রিনা। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। তবেগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আর কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসে এ কয়েকদিনে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের অনেকের দাফন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছিল। আমরা সেসব জায়গায় ইনভলব হয়ে আমাদের দিক থেকে আমরা চেষ্টা করেছি সহযোগিতা করার জন্য। অনেক রোগেই সারাবছর কেউ না কেউ মৃত্যুবরণ করেন। সে কারণে এখন মৃত্যু বরণ করলেই সেটা কোভিড- ১৯ সংক্রমণ হবে এ রকম কোনো বিষয় নয়।’
সেব্রিনা আরো বলেন, ‘এ রকম প্রশ্ন উঠায় বেশ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কারোর মধ্যেই কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই যেন আমরা তাদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করি।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সেব্রিনা বলেন, ‘আমরা দুটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করছিলাম। এখন পর্যন্ত সেখানে সংক্রমিত হওয়ার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সে কারণে সীমিতভাবে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে আগে আমাকে বিস্তারিত তথ্যের বিশ্লেষণে বলতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘লিমিটেড স্কেলে যে এলাকাটির কথা আমরা বলছি, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে ভেবে আমরা ওই এলাকাটিকে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে সেটা প্রতিরোধ করার কার্যক্রম নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত এটা সারা বাংলাদেশব্যাপী ট্রান্সমিশন হয়েছে, এরকম কোন পরিস্থিতি এখনো হয়নি।’
আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংক্রমিতদের মধ্যে আরো দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এ নিয়ে মোট সাতজন সুস্থ হয়েছেন।