সাংবাদিকদের সেলফ সেন্সরশিপে বাধ্য করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্মহীন দুস্থদের ত্রাণ বিতরণে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির-সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্নভাবে বাধা, হয়রানি ও নির্যাতন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সেলফ সেন্সরশিপে বাধ্য করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ও মামলা দেওয়া হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে।
আজ রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগে মানবজাতি হতচকিত সন্ত্রস্ত। এই ভয়াল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশে এই দিবসটির গুরুত্ব খুবই অর্থবহ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানব প্রগতির ধারা। জীবন ও জগতকে জানার স্বাধীনতা থেকেই জন্ম নেয় চিন্তার স্বাধীনতা। চিন্তার স্বাধীনতার কারণে মানবজাতির উৎকর্ষতা ও অগ্রগতি নিশ্চিত হয়েছে। চিন্তার স্বাধীনতার বাহনই হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বজনীন এক দাবি। সুতরাং গণতন্ত্র, মানবতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডমের মূল প্রতিপাদ্য ভয় বা পক্ষপাতিত্বহীন সাংবাদিকতার স্লোগানটিকে ঘিরে বাংলাদেশে গড়ে উঠুক ভয়ভীতিহীন স্বাধীন সাংবাদিকতার ভিত্তিভূমি। তবে নানামুখী চাপ সত্ত্বেও এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন বাংলাদেশের অকুতোভয় সাংবাদিকরা।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন,ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনা দুর্যোগেও জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন সাংবাদিকরা। ইতিমধ্যে কোভিড-১৯-এ দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকন মারা গেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং নিয়মিত বেতন-ভাতার পাশাপাশি আপৎকালীন ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করেন।