সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবিতে নীলক্ষেতে অবস্থান নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তারা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন। কিন্তু, কিছুটা এগোতেই তাঁরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
তখন শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে বসে পড়েন। এতে করে সে সময় কিছু সময়ের জন্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় থেকে সরে যান। পরে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা যখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তখন নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মনিরুল হক বলেন, মিছিল নিয়ে যাওয়া যাবে না। পরে তারা মোড়েই অবস্থান নেন।
পরে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেন শাহ শিক্ষার্থীদের বলেন, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পুলিশ পৌঁছে দেবে।
সে সময় সাত কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় তাঁরা আবার নীলক্ষেত মোড় থেকে ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করবেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হচ্ছে, গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রজ্ঞাপন দিয়ে অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করা ও বিআরটিসি বাস শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি করা, সব গণপরিবহণে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য অবাধ-নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা ও ট্রাফিক আইনের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনে একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ন্যূনতম এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহত-ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব নেওয়া, দুর্ঘটনার জন্য দোষী চালক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের মালিকদের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন, প্রতিটি গণপরিবহণের ভেতর দৃশ্যমান স্থানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি ও গাড়ির নম্বরপ্লেট স্থাপন, সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়করণ ও আধুনিকায়ন এবং পরিবহণ খাতে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি বন্ধ করে শতভাগ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও সব বেসরকারি বাস-ট্রাক-সিএনজি-ট্যাক্সির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার।