সাবরীনাসহ আট আসামির জামিন নাকচ
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট ডা. সাবরীনা, আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় সাবরীনাসহ আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া সাবরীনাসহ আট আসামি জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
জামিন আবেদন নাকচ হওয়া অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
এর আগে গত ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।
গত ২৩ জুন সাবরীনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ জুলাই আরিফের আবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এ ছাড়া গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরীনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ১৩ জুলাই তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৭ জুলাই আরো দুই দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। ২০ জুলাই দুই দফা রিমান্ড শেষে আদালত সাবরীনাকে কারাগারে পাঠান।