সাবেক মেয়র হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য হানিফ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।
মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকায় বাণী দিয়েছেন।
মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এ সময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬-এর মার্চের শেষ সপ্তাহে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে মোহাম্মদ হানিফ তাঁর বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করেন, যা তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতনসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট তৈরি করে এবং যার ফলশ্রুতিতে ’৯৬-এর ১২ জুন দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয় এবং আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।
মেয়র হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—সকাল সাড়ে ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন ও আজিমপুরে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে কোরআন খানী ও দোয়া মাহফিল।