সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করতে আরো কঠোর হচ্ছে ডিএমপি
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে সারাদেশ কার্যত লকডাউনে মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দেশের অধিকাংশ নাগরিককে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বা বিচ্ছিন্নকরণ বজায় রেখে চলতে।
এ ধরনের নির্দেশনার পরও কিছু মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। যাচ্ছেন বাজারের মতো সমাগমস্থলেও। এতে করে তাঁরা বাড়াচ্ছেন করোনার ঝুঁকি। এই যখন পরিস্থিতি, তখন আজ শনিবার থেকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আরো কঠোর হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১র দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মহানগরীতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, আগামীকাল (আজ) থেকে কঠোর ভূমিকা নিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ধানমণ্ডির বাসায় শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দদের নিয়ে বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত হয়।'
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগররের ১৩৯ টি (ঢাকা মহানগর উত্তরের ৬৪টি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৭৫টি) ওয়ার্ডে ত্রাণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি ওয়ার্ড কমিটিতে পুলিশের একজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রায় এক ঘণ্টা ৩০ মিনিটের বৈঠকে আরো অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ নেতৃবৃন্দ।'
এ করোনা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে এর আগেও রাজধানীতে অকারণে ঘোরাঘুরি, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলার অভিযোগে এনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিএমপির বিভিন্ন থানার পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে জরিমানা করে।