সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যারা মানুষের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে জনগণের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। আজ রোববার সকালে রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করে তিনি এই নির্দেশনা দেন। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন তিনি।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ইতিহাসে এক স্মরণীয় নাম পুলিশ। সেই থেকে দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে প্রতিবছরের মতো আজ থেকে পুলিশ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। আধুনিক ও সুসজ্জিত বাহিনীর এই মিলনমেলায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আনুষ্ঠানিকতার শুরুতেই খোলা জিপে চড়ে সারা দেশের পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার ছালেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে কুচকাওয়াজে অংশ নেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। এ সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য চার ক্যাটাগরিতে ১১৮ পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মাদক ও দুর্নীতি দমনে সরকারের নীতির অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যারা মানুষের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। ইতিমধ্যে সাইবার ক্রাইম আইন একটা করে দিয়েছি। গুজব রটিয়ে মানুষের ক্ষতিসাধন যারা করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ভূমিকা রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে আমরা আমাদের দেশকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করি, সাথে সাথে পুলিশ বাহিনীসহ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করে যাই।’
জনমনে অমূলক ভীতি তৈরি না করে পুলিশকে জনগণের সেবক হিসেবে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
আগামী ১০ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পুলিশ সপ্তাহের এই আয়োজন।