সিএমএম আদালতের বিচারককে ছুটি, বিক্ষোভ স্থগিত
আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এরপর আইনজীবীরা বিক্ষোভের কর্মসূচি স্থগিত করলে ফের আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ে শুনানি না করে আইনজীবীকে কাঠগড়ায় আটকে রাখার ঘটনায় এ বিক্ষোভ করছিলেন আইনজীবীরা।
আজ বুধবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেইটে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় বিচারকাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত এই ঘটনায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরকে দুদিনের ছুটিতে পাঠান। এরপর আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন।
এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরকে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সাময়িকভাবে ওই আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া, বিচারককে প্রত্যাহারের বিষয়ে বার ও বেঞ্চের সমন্বয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে আবেদন পাঠানো হবে।
আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সকালে সিএমএম আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা করতে যান আইনজীবী রুবেল আহমেদ। প্রথমে পেশকার জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত বসবে। কিন্তু সেসময় আদালত শুরু হয়নি। এরপর ১১টার দিকেও আদালত না বসলে আইনজীবী নির্দিষ্ট সময় জানতে চান।
এর কিছু পর আদালত বসে। তখন মামলার কার্যক্রমের শুরুতেই ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ করে পরে শুনানি করার কথা জানান বিচারক। এরপর পুলিশ ওই আইনজীবীকে দুই ঘণ্টা কাঠগড়ায় আটকে রাখে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রতিবাদ ও সংশ্লিষ্ট বিচারকের অপসারণ দাবি করে আজ সকাল থেকে সিএমএম আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। তারা জানান, একজন আইনজীবীকে তার শুনানি না শুনে দুই ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনাটি গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা আদালতের বিচারকাজকে ব্যাহত করবে।