সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এই মামলার পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেছেন, ‘গত ১৩ ডিসেম্বর র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক আসামি এএসআই সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ থানা পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সিফাত ও শিপ্রাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
দীর্ঘ চার মাস আট দিন তদন্ত শেষে টেকনাফ থানার আলোচিত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। সেখানে এএসআই সাগর দেব পলাতক বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরবর্তী সময়ে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিকে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এঁদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।