সিরাজগঞ্জে নদীভাঙন : নিঃস্ব হচ্ছে এক সময়ের স্বচ্ছল মানুষ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও, এখনও বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের এক লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলায় চলছে তীব্র নদীভাঙন। প্রতিদিনই ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছে এক সময়ের স্বচ্ছল মানুষজন। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও হাট-বাজার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ জানান, রোববার সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আট সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর পানি।
জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার অন্তত ৪০টি ইউনিয়নের এক লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বানভাসিরা।
এদিকে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলায় তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন। এ দুই উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ও বাগুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও হাট-বাজার।
চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক সরকার বলেন, ‘নদীভাঙনে এক সময়ের স্বচ্ছল মানুষজন বসত-ভিটা, ফসলি জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে প্রতিদিন। ঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে অন্যের জমি বা রাস্তায় স্তূপ করে রেখেছে ভাঙনকবলিতরা। অনেকে আবার অর্থের অভাবে ভাঙা ঘর ও আসবাবপত্র সরাতে পারছে না। ফলে, খোলা জায়গায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। বছরের পর বছর এই ভাঙন চললেও আজও নির্মিত হয়নি বাঁধ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভাঙনকবলিতরা।’