সিরাজগঞ্জে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ, ১২ মোটরসাইকেলে আগুন, ভাঙচুর
সিরাজগঞ্জে বিএনপি’র পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুটি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় অন্তত ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতবাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এই হামলার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একে অপরকে দায়ী করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া বাজারে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় সেখানে শান্তি সমাবেশের জন্য পূর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতবাড়িতে।
সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, ‘আমরা মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সভা করছিলাম এসময় খবর পেলাম পাইকপাড়ায় আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা জামায়াতকে সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ১২টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বিএনপি পদযাত্রার নামে সন্ত্রাস যাত্রা শুরু করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদ রাতে এসে সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে। আমরা এই সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই সন্ত্রাস করেছে তাদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা নাহলে সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।’
এবিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে। বিএনপির কর্মসূচি পূর্বঘোষিত। বিএনপির পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি তৈরি করছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা চালায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘যারা এই হামলার সাথে জড়িত আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।