সিলগালা খুলে আটক হলেন ভৈরব খাদ্য গুদামের পরিদর্শক
অনুমতি ছাড়া সিলগালা খুলে ফেলায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামের পরিদর্শক কামরুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ১০ শ্রমিককেও আটক করা হয়।
মহাপরিচালকের নির্দেশে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা নেতৃত্বে আজ রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন।
আটককৃত শ্রমিকরা হলেন গুদামের সরদার আবদুস সালাম, শ্রমিক হান্নান, ফরিদ মিয়া, সোহরাব হোসেন, তাজুল ইসলাম, মিটন, মহন মিয়া, লোকমান হোসেন, বরজু মিয়া ও রউফ মিয়া। তাদের আটক করার পর ইউএনও আবার গুদামটি সিলগালা করে দেন।
জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. সারোয়ার মাহমুদ ভৈরব সরকারি খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করতে আসেন। এ সময় তিনি ২ ও ৩ নম্বর গুদামে চালের মজুদ কম সন্দেহ হলে গুদামের পরিদর্শক কামরুল হাসানকে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি পাশের একটি রাইস মিলের গেইট গুদামের সঙ্গে খোলা দেখতে পান। এরপর ডিজি ২ ও ৩ নম্বর গুদাম সিলগালা করে দেন।
পরে ডিজি কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেনকে নির্দেশ দেন গুদামের সঙ্গে রাইস মিলের সংযোগ ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিতে। তাঁর নির্দেশে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর হোসেন রাইস মিলের সংযোগ দেয়াল দিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। এ সময় তিনি দেখতে পান সিলগালা করা ৩ নম্বর গুদামটির দরজা খোলা। ভেতরে ঠিকাদাররের শ্রমিকরা বস্তা খামাল (সারি) দিচ্ছেন। তিনি তাৎক্ষণিক মহাপরিচালককে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানান। এরপর মহাপরিচালক ইউএনও লুবনা ফারজানাকে নির্দেশ দেন পরিদর্শক কামরুলকে আটক করতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন জানান, ‘মহাপরিচালকের লাগানো সিলগালা ভেঙে খাদ্য পরিদর্শক অপরাধ করেছেন।’ গুদামে মজুদকৃত চাল কম রয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন।’
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বলেন, ‘এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’