সিলেটে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
পরিবহণ ধর্মঘট পেরিয়ে সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন তারা। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে করে, পায়ে হেঁটে আসছেন। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সমাবেশ।
সমাবেশস্থলে গিয়ে জানা গেছে, বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করে নানা ঝক্কিঝামেলা পেরিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সিলেটের গণসমাবেশে পৌঁছান। গত তিন দিন ধরেই সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সেখানে লোকারণ্যে পরিণত হয়।
সিলেট জেলায় চলছে আজ শনিবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট, আর আগে থেকেই সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে শুরু হয় ৩৬ ঘণ্টা বাস ধর্মঘট। ডাক দিয়েছে মালিক সমিতি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক গ্রুপ।
এদিকে, এক দিন আগেই সমাবেশের আমেজ শুরু হয় সিলেটে। শুক্রবার সূর্যাস্তের আগেই বিপুল নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। আগত নেতাকর্মীদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আমাদের মুঠোফোনে জানাচ্ছেন, তাঁদের আসার পথে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে গাড়ি বদলে বাধাবিপত্তি ঠেলে অনেকে ঠিকই শহরে পৌঁছেছেন।’এরই মধ্যে অন্তত দুই লাখ মানুষ গণসমাবেশে যোগ দিতে সিলেট শহরে এসেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
কোনো বাধাবিপত্তিই জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ সিলেটমুখী সড়কগুলোয় চলাচলে বাধা দিচ্ছে। ফলে অনেক নেতাকর্মী আসতে পারছেন না। তবে সমাবেশ শুরুর এক দিন আগে সমাবেশস্থল মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। শনিবার পুরো সিলেট শহর সমাবেশের নগরে পরিণত হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে দলটি। গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে গণসমাবেশ করে দলটি। পরে ৫ নভেম্বর বরিশালে এরপর সবশেষ ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে মহাগণসমাবেশ করেন তারা।