সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালিকপক্ষের
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, কনটেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি। নৈতিকতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হতাহতদের পাশে থাকব আমরা। আহতেরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমরা বহন করব। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে। প্রশাসন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, সেভাবেই সহায়তা করা হবে।’
শনিবার আনুমানিক রাত ৯টার দিকে সোনাইছড়ির কেশবপুরে অবস্থিত বিএম (প্রাইভেট) কনটেইনার ডিপোতে (সাবেক কাসেম জুট মিলস) আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নগরীর বিভিন্ন ফায়ার স্টেশন ও সীতাকুণ্ডের কুমিরা থেকে অন্তত আটটি গাড়ি আগুন নেভানোর সময় রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সেখানে কর্মরত কয়েকশ শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং শিল্প পুলিশের সদস্যেরা আহত হন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং একের পর এক অন্যান্য কনটেইনার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, কনটেইনারগুলোতে কেমিক্যাল ভর্তি ছিল। যার কারণে আগুন লাগার পর সেগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্ফোরণে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও সময় লাগবে।’
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, রাত ৯টায় লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডিপোতে প্রায় দেড়শ কনটেইনার আছে। কিন্তু, রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় কনটেইনার বারবার বিস্ফোরিত হচ্ছে। যে কারণে আগুনের কাছেও ঘেঁষতে পারছি না আমরা। প্রায় ১০০ গজ দূর থেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’
অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে—বিস্ফোরণের সময় দায়িত্বে থাকা সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কনস্টেবল তুহিনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েক জন পুলিশ আহত হয়েছেন।